Posts

বাংলাদেশের বৃহত্তর রানওয়ে নির্মান হচ্ছে

Image
 বিশ্বের বৃহত্তর অখন্ডিত সমুদ্র সৈকতে ক্ষে-ত কক্সবাজার দ্বীপাঞ্চলের সবুজ বনায়ন সংলগ্ন গড়ে তোলা হচ্ছে এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তর সমুদ্র বেস্টিত বিমানবন্দর।সমুদ্রের নোনা জলের ঠিক ওপরেই বিমান অবতরণের প্রস্তুতি নেবে। পৃথিবীর উপকূলীয় শহরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে এই বিমানবন্দর।এই বিমানবন্দর হবে এশিয়ার যেগাযোগের নতুন মাধ্যম।কারণ এখানে দুবাই বিমান বন্দরের মতো কক্সবাজারের বিমানবন্দরেও থাকবে রি-ফুয়েলিং-এর ব্যবস্থা।দেশের বৃহত্তর পর্যটন নগরীতে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে রানওয়ের ৪ হাজার ফুট থেকে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। যে রানওয়ের প্রস্থ ছিল ১০০ ফুট এখন তা করা হয়েছে ২০০ ফুটে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিমানবন্দরটির রানওয়ে বৃদ্ধি করা হবে আরো এক হাজার ৭০০ ফুট। যা করা হবে ১০ হাজার ৭০০ ফুট দৈর্ঘ্য।এর মধ্যে ১৩০০ ফিট হবে সরাসরি বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলের ‌ওপরে। যেখানে থাকবে সেন্ট্রাল লাইন লাইট। এছাড়াও সমুদ্র বুকের ৯ শ মিটার পর্যন্ত হবে প্রিসিশন এপ্রোচ লাইটিং। এর নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে পনেরো শ কোটি

বুনিয়াদি শিক্ষা

Image
 "বাবারা, একটু লেখাপড়া শিখ। যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ কর, ঠিকমত লেখাপড়া না শিখলে কোন লাভ নেই। আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকু থাকে বাপ-মাকে সাহায্য কর। প্যান্ট পরা শিখছো বলে বাবার সাথে হাল ধরতে লজ্জা করো না।দুনিয়ার দিকে চেয়ে দেখ। কানাডায় দেখলাম ছাত্ররা ছুটির সময় লিফট চালায়। ছুটির সময় দু'পয়সা উপার্জন করতে চায়। আর আমাদের ছেলেরা বড় আরামে খান, আর তাস নিয়ে ফটাফট খেলতে বসে পড়েন। গ্রামে গ্রামে বাড়ীর পাশে বেগুন গাছ লাগিও, কয়টা মরিচ গাছ লাগিও,কয়টা লাউ গাছ ও কয়টা নারিকেলের চারা লাগিও। বাপ-মারে একটু সাহায্য কর। কয়টা মুরগী পাল, কয়টা হাঁস পাল। জাতীয় সম্পদ বাড়বে। তোমার খরচ তুমি বহন করতে পারবে। বাবার কাছ থেকে যদি  এতোটুকু জমি নিয়ে ১০ টি লাউ গাছ, ৫০ টা মরিচ গাছ, কয়টা নারিকেলের চারা লাগায়ে দেও, দেখবে ২/৩ শত টাকা আয় হয়ে গেছে। তোমরা ঐ টাকা দিয়ে বই কিনতে পারবে। কাজ কর, কঠোর পরিশ্রম কর, না হলে বাঁচতে পারবে না। শুধু 'বি,এ- এম,এ' পাস করে লাভ নেই। আমি চাই কৃষি কলেজ,কৃষি স্কুল,ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল,কলেজ ও স্কুল,যাতে সত্যিকারের মানুষ পয়দা হয়। বুনিয়াদি শিক্ষা নিলে কাজ করে খেয়ে বাঁচতে পারবে। কেরানী পয়দ

ভ্যাক্সিন নিয়ে দাদাদের লঙ্কাকাণ্ড

Image
 বাংলাদেশ যখন সবার আগে ভারতে বিনিয়োগ করে কিছুটা নিশ্চিন্ত হতে চেয়েছে ভ্যাক্সিনের প্রাপ্যতা নিয়ে তখন ভারত তার বন্ধুসুলভ আচরন করে হঠাৎ টিকা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। অনেকটা হুটহাট করে পেয়াজ ও শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানি প্রবাহ বন্ধ করার মত। তো এবারো বন্ধুদেশ ভেবেছিল, বাংলাদেশ চিপায় পড়লে ভারতের গুরুত্ব বুঝে বাংলাদেশ নত হবে। দাদার দাদাগিরিতে লুটিয়ে পড়বে বাংলাদেশ সরকার। আসলে ঠিক এই সময়ে হাজির হয়ে আসে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র,জাপান। ➤কয়েকদিন আগে ৫০ লাখের মধ্যে ২০ লাখা চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে কেনা, ➤ ৩০ লাখ টিকা আসছে বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে, যা মডার্নার তৈরি। ➤সিনোফার্ম আগের থেকেও কম মূল্যে ২ কোটির বেশি ভ্যক্সিন দিতে প্রস্তুত। চালান পাঠিয়ে দিয়েছে(যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে না চীন এগোলে তারা পিছিয়ে থাক। অনুদান বলুন আর কোভ্যাক্স বলুন, তারাও পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন উপহার হিসাবে দিয়েছে। বাকিটা আসছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।) ➤জাপান ও ২৯ লক্ষ ভ্যাক্সিন পাঠিয়ে দিয়েছে। আগামি দুই মাসের মধ্যে ২ কোটি বা তার বেশি ভ্যাক্সিন এসে পৌছে যাবে। ➤ রাশিয়া ও এ দৌড়ে পিছিয়ে নেই।তারা রিতিমতো অফার ই করে বসেছে একসাথে

মুকুটহীন সম্রাট তাজউদ্দীন

Image
   ৭১ এ অস্থায়ী সরকার গঠন করার পর ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে যাবেন তিনি। ভারতের সীমান্তে পৌঁছালেন অথচ ভারতে ঢুকেননি। একজন বলে উঠলো “আপনি যাবেন না?”  তিনি দৃঢ় গলায় বললেন আমার দেশ স্বাধীন। আর স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আমি বিনা প্রটোকল আর তাঁদের আমন্ত্রণ ছাড়া আমি তাঁদের দেশে যেতে পারিনা। এটি আমার দেশের জন্য প্রচণ্ড অসম্মানজনক। আমাকে তো ভারত আমন্ত্রণ জানায়নি। পরবর্তীতে যদিও ভারত সরকার তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে ভারতে নেয়। এমনই ছিলো তাঁর আত্মসম্মান বোধ।  বলে রাখা ভালো,তিনিই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোরআন হাফেজ প্রধান মন্ত্রী।  মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এক ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন-"মুছে যাক আমার নাম, তবু থাকুক বাংলাদেশ।" মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে অবস্থানকালে বাংলাদেশের অন্যরা যখন ভারতীয় সময়ে চলতেন সেখানে তাঁর ঘড়ি চলতো বাংলাদেশী সময়ে তথা ভারতীয় সময় থেকে ৩০ মিনিট এগিয়ে।  যেদিন তাঁর সঙ্গে প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ভারতে দেখা হলো, ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাহায্যের কথা বলে বসলেন। এবং যেকোন মুহূর্ত

নবাবজাদার উষ্ঠা খেল

Image
 প্রথমবারের মত ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি ২০ সিরিজ জিতে নিয়েছে টাইগাররা। এর আগে আজিরা একের পর এক শর্ত দিয়ে একপ্রকার তাচ্ছিল্যের  শুরে হেটে নিজেদের নবাবি কাজ কারবারের জানান দেওয়াটা কারো ই নিশ্চয়ই অজানা নয়।উইকেট পায়নি,ব্যাট হাতে নেই কোন রান। তবে ৩য়  ম্যাচ জয়ে সবথেকে বড় ভূমিকা কার জিজ্ঞেস করলে চোখ বন্ধ করে বলতে হবে মোস্তাফিজ এর কথা।তাছাড়া মাহামুউল্লার ম্যাচ ধরে রাখাটা ছিল এক প্রকারে চ্যালেন্জিং যেটা তিনি করতে পেরেছিলেন।এ সিরিজ জয়ে তরুণ ক্রিকেটার নাসুম,আফিফ,সোহান,শরিফুল এর ভূমিকা ছিল প্রশংশনীয়।অভিনন্দন টিম টাইগার্স।প্রথম অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়লো  Long live Bangladesh 🇧🇩❤️ আব্দুল্লাহ ইশতিয়াক ishtiaksayem1169@gmail.com

হরিপদ কপালী এক অূতপূর্ব কৃষক বিজ্ঞানী।

Image
অজপাড়া গ্রামের একজন অক্ষরজ্ঞানহীন দরিদ্র কৃষক কি কখনো কৃষি বিজ্ঞানী হতে পারেন? হতে পারেন উদ্ভাবক? যার ঘর ভাঙাচোরা, বর্ষায় যার ঘরের চাল চুয়ে জল পড়ে। খরা কিংবা বন্যায় ধানের আবাদ নষ্ট হলে সারাবছর চলতে হতো ভীষণ অভাবে। ভোরের আলো ফোটার আগেই যাকে তীব্র শীতে কিংবা অঝোর বৃষ্টিতে হাজির হতে হয় নিজের কর্মক্ষেত্র ফসলের মাঠে, যাকে জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে মাথাল মাথায় ছুটতে হয় ক্ষণিক বিশ্রামের আশায় কোনো এক বৃক্ষের তলে। যার কপালে নেই কোনো গবেষকের ডক্টরেট ডিগ্রি, যার আধুনিক গবেষণা সরঞ্জামাদি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ল্যাবরেটরি নেই, যার ল্যাবরেটরি ফসলের মাঠ।   অথচ সেই কৃষকই যে একটি জনপদের ধান উৎপাদনের চিত্র পরিবর্তন করে দিতে পারেন। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে তাই ঘটেছে। একদিন সকালে নিজের ইরি ধান খেতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ধান গাছের শীষ দেখতে পেলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অক্ষরজ্ঞানহীন দরিদ্র কৃষক হরিপদ কাপালী। সেই ধানগাছের ছড়াতে ধানের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল এবং ধান গাছটিও ধানে ভারী পুষ্ট। অথচ আর কোনো ধান নেই সেটি ছাড়া। তো এই ভিন্ন ধরনের ধান গাছ দেখে হরিপদ কাপালী সে ধানটিকে আলাদা করে রাখলেন। এরপর বীজ সংগ্রহ করলে